সর্বশেষ

পাঠক ভাবনাঃ আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ বা চালু - কোনটাই সুবিধাজনক না - ব্যারিস্টার মুসতাসীম তানজীর

পাঠক ভাবনায় এবারের বিষয় ছিল "আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধের প্রভাব ও করনীয়"। আইন বিদ্যালয়" "AIN24" তার পাঠকদের কাছে এসম্পর্কে জানতে চায়। যারা ফেসবুকে মতামত জানিয়েছেন তা তুলে ধরা হল।

ব্যারিস্টার মুসতাসীম তানজীর
অ্যাডভোকেট, সুপ্রীম কোর্ট
আমার মতামত হচ্ছে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিষয়টি এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালুর বিষয়টি - এই দুইটি বিষয়ের কোনটাই খুব সুবিধাজনক না। এর দুটোই শাঁখের করাতের মতো পরিস্থিতি বা উভয়সংকট সৃষ্টি করেছে। আদালত পুরোপুরি খুললে আইনজীবী, বিচারক ও মক্কেলদের মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আবার এখনকার অবস্থায় মক্কেলদের অধিকার পুরোপুরি রক্ষা করা বা আইনজীবীদের জীবিকা নির্বাহ করা এই দুটো পুরোপুরি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। আইনজীবীদের অনেকেই এখন বর্তমান অবস্থার কারণে ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন। আমার মতে এই অবস্থায় ভারচুয়াল আদালতের পরিধি বৃদ্ধি করে ধীরে ধীরে ই জুডিসিয়ারির দিকে যাওয়া এবং অর্থনৈতিক সংকটে পড়া আইনজীবী বিশেষ করে জুনিয়র ও শিক্ষানবীশদের প্রতি মানবিক হয়ে সহায়তা বৃদ্ধি করা উচিত। এজন্য সরকার, বার কাউন্সিল, সিনিয়র আইনজীবীগণ এবং আইনজীবী সমিতি সকলেরই এগিয়ে আসা উচিত। বিশেষ করে আইনজীবী সমিতি ও বার কাউন্সিলের উচিত আইনজীবীদের এই ঘোরতর অন্ধকার দুঃসময়ে তাদের তহবিলগুলো সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের মাঝে বন্টন করার উদ্যোগ নেওয়া এবং এজন্য প্রয়োজনীয় নিয়ম ও বিধিবিধান সংশোধন করা। মরবার পর নয়, জীবিত থাকতেই এবং এখনই তাদের অর্থ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিত। ভারচুয়াল আদালতের পরিধি বৃদ্ধি ও ই জুডিসিয়ারি বাস্তবায়নের জন্য আইনজীবী ও বিচারকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যাপক ও মানসম্মত উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

ছবিঃ আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করার জন্য বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়

ইহতাসামুল হক
অ্যাডভোকেট,ঢাকা জজ কোর্ট
আমার মতে হই কোর্ট খুলে দিতে হবে নইতো ভারচুয়াল কোর্টে এ সব কাজ করার অনুমতি দিতে হবে।

তায়েব আলী মীর
আইনজীবী, চট্টগ্রাম জজ কোর্ট
ইতিমধ্যে অনেক আইনজীবী করোনার কারনে পরলোক গমন করেছেন।আর কোন বিজ্ঞ আইনজীবীকে আমরা হারাতে চাই না।অতএব, যতবছর করোনা থাকবে ততবছর ভার্চুয়াল আদালত চালু রাখা হোক।

ইসরাত নিপা
সামাজিক দূরত্ব কোর্টে মানা যায় না। তাই আরো কিছুদিন কোর্ট বন্ধ রাখাই উত্তম। অনেক আইনজীবী করোনার কারণে অসময়েই মারাও গেছেন। আল্লাহ তাদের জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।

মিজানুর রহমান সোহান
আইনজীবী, রাজশাহী
জনগণ বিচারহীনতা ও আইন বহির্ভূত জীবন নিয়ে এই সংকটময় সময়ে দিশেহারা।

রেদোয়ান
নোয়াখালী
মানবিক বিবেচনা স্বাস্থ্য বিধি মেনে কিছু বিষয় সংক্ষিপ্ত রেখে আদালত খোলা হোক।

মীর শ্রাবন
মুন্সিগঞ্জ
সকল কিছু যখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে তখন কোটের বেলায় কেন হবে না? সারা দেশে ৬৪ জেলায় প্রত্যেকটি আদালতের কয়েক লাক্ষ আইনজীবী তাদের সহকারী, এই খাতে রিলেটেড ফটোকপি দোকান স্টাম্পের দোকান সবাই এখন কঠিন থেকে কঠিনতর ভাবে জীবনযাপন করছে, তাছাড়া মামলার জট তো আছেই লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের ন্যায্য দাবী হতে বঞ্চিত হচ্ছে,, স্বাভাবিক কার্যত্রম যাতে হয় সেই জন্য আদালত খুলে দেওয়া হোক

আফরোজা খাতুন শিমু
শিক্ষানবিশ আইনজীবী, ঢাকা জজ কোর্ট
স্বাভাবিক কাজ চালু করা উচিত। সীমিত আকারে হলেও।

বাবলু হাসান
ঢাকা
অনেক বিচার প্রার্থী ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আদালত খুলে দেওয়া হোক।

আনোয়ারুল সাদেক রাসেল
শিক্ষানবিশ আইনজীবী, কক্সবাজার
জনগণ বেঁচে না থাকলে জনগণের অধিকার, সম্পদ, এইগুলোর কোন মূল্য আছে? আগে জনগণের জীবন, পরেই জনগণের মঙ্গল।

মুসলাহা উদ্দীন
অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে আগে মানুষের জীবন বাচাতে হবে।

মিস্টি রাইট
শিক্ষানবিশ আইনজীবী, দিনাজপুর
আগে জীবন তারপর কোর্ট।

কেয়া মনি
আর কোনো আইনজীবী'র মৃত্যু চাইনা।

এম মানিক হোসাইন
কষ্টে আছি, তাই কোর্ট খুলে দেওয়া দরকার।

এছাড়া আদালত খুলে দেওয়ার পক্ষে বলেছেন, নুরুল ইসলাম, সোয়াইব হোসাইন, আমিনুল আহসান, মাহফুজুর রহমান, আনোয়ার হোসাইন,সোহেল আহমেদ, মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ গোলাম মোস্তফা।

No comments