বোমার খোসায় ফুল
ঘুম থেকে উঠে ফাতিমা কাওমীর প্রথম কাজই হচ্ছে শত শত গ্রেনেড, মর্টার শেল, বুলেটের খোসা কুঁড়ানো। তারপর সেগুলো তিনি অতি যত্নে পরিষ্কার করেন। রোদে শুকিয়ে এরপর সেগুলোর ভেতর ফুলের বীজ রোপন করেন। এখানেই তার কাজ শেষ নয়। তিনি প্রতিদিন নিয়ম করে পানি দেন, একটু একটু করে চারাগুলোকে বড় করেন।
মরুভূমির তপ্ত বালিতে গ্রেনেডের খোসায় ফুল ফোটাতে নূর-ই-ফাতিমা কাওমীকে একটা লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। এর মধ্যে অন্যান্য প্রতিকূলতা তো রয়েছেই! তবে মহিয়সী এই নারী যেভাবেই হোক, গাছগুলোকে রক্ষা করেন। তারপর একসময় তার গাছগুলো ভরে ওঠে স্বর্গীয় ফুলে ফুলে।
পৃথিবীতে যে মরণাস্ত্রগুলো তৈরিই হয়েছে মানুষের অস্তিত্ব বিনাশের জন্য; সেখানেও নূর-ই-ফাতিমারা প্রচণ্ড ভালোবাসা আর গভীর আবেগ দিয়ে ফুল ফোটান। তিনি বিশ্বাস করেন, এই যে পৃথিবীতে এতো রঙ, এতো বর্ণের মানুষ; এটাই পৃথিবীর আসল সৌন্দর্য।
সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ
মন্তব্য লিখুন