জিডি কখন ও কিভাবে করতে হয়?
যেসব কারণে একজন ব্যক্তি জিডি করতে পারবেন
১. কেউ ভয় দেখালে বা হুমকি দিলে বা অন্য কোন কারণে যদি আপনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন।
২. কোনো ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকলে কিংবা কোন ধরনের অপরাধের আশঙ্কা থাকলে।
৩. কেউ কারো সম্পদের ক্ষতি করলে বা প্রাণনাশের হুমকি দিলে।
৪. আপনি যদি খারাপ কোনো কিছু আশঙ্কা করেন, যেমন কেউ আপনার ওপর হামলা করতে পারে বা ক্ষতি করতে পারে; তাহলে জিডি করা হলে ওই ঘটনার পর দোষী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সহজ হয়।
৫. কোন রকমের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা যদি থাকে তা হলে থানায় লিখিত আকারে জানালে পুলিশ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে।
৬. কেউ হারিয়ে অথবা বাসার কেউ নিখোঁজ হলে বা পালিয়ে গেলে।
৭. কোনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পরিচয়পত্র, অন্যান্য দরকারি নথি, পাসপোর্ট, চেকবই, লাইসেন্স, মূল্যবান রশিদ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, গুরুত্বপূর্ণ কোন সার্টিফিকেট, এটিএম বা ক্রেডিট কাড, মোবাইল ফোনের সিম, জমির দলিল, অন্যান্য দলিল প্রভৃতি হারিয়ে গেলে; হারানো জিনিস খুঁজে পেতেও আপনার জিডি সহায়ক হয়ে ওঠে পুলিশের জন্য।
আইনি সহায়তার জন্য জিডি খুবই কার্যকর একটি পদক্ষেপ। ওইসব কাগজপত্র পুনরায় তুলতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হারানো সংবাদের জিডি চেয়ে থাকে, তাই ওইসব ক্ষেত্রে হারানো সংবাদের জিডি করে সেই জিডি নম্বরসহ কর্তৃপক্ষরে কাছে আবেদন করতে হয়।
আপনি কোথায় এবং কীভাবে জিডি করবেন
জিডি করার ক্ষেত্রে সাধারণত নিজের এলাকার থানাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তবে
ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে এক থানায় আর জিডি করছেন অন্য থানায়,
এমনটি হওয়া উচিত নয়। কেননা এতে আইনি সহায়তা নিতে ঝামেলা হয়। জিডি ও মামলা
করার ক্ষেত্রে ঘটনাস্থলকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। অর্থাৎ যে এলাকায় ঘটনা
ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, সে এলাকার থানাতেই জিডি করা উচিত।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
………………..থানা, ঢাকা।
বয়স : ………………………………………………………
পিতা/স্বামী : ………………………………………………..
ঠিকানা : …………………………………………………….
মন্তব্য লিখুন